রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩০ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
জুলাই-আগষ্টে শহীদদের ছাড়া আর কারো প্রতি দায়বদ্ধতা নেই। কালের খবর পার্বত্য চট্টগ্রামের সম্ভাবনাময় অর্থকরী ফসল কাসাভা। কালের খবর চবি এক্স স্টুডেন্টস ক্লাব ঢাকা এর সভাপতি ব্যারিস্টার ফারুকী এবং সাধারণ সম্পাদক জিএম ফারুক স্বপন নির্বাচিত। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল সম্পন্ন। কালের খবর সীতাকুণ্ড হবে বাংলাদেশের অন্যতম মডেল উপজেলা : আনোয়ার সিদ্দিক চৌধুরী। কালের খবর মাটিরাঙ্গার গুমতিতে মহান বিজয় দিবসে বিএনপির শোভাযাত্রা ও পুষ্পস্তবক অর্পণ। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় মহান বিজয় দিবসে বিএনপির শোভাযাত্রা ও পুষ্পস্তবক অর্পণ। কালের খবর মুরাদনগরে সামাজিক সংগঠনের শীতের কম্বল বিতরণ। কালের খবর বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে ‘স্বাধীনতা সোপানে’ শ্রদ্ধা নিবেদন। কালের খবর জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার প্রধান কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন। কালের খবর
মুরাদনগরে গোমতী নদীর পানি কমার সাথে সাথে ব্যাপক হচ্ছে ভাঙ্গন। কালের খবর

মুরাদনগরে গোমতী নদীর পানি কমার সাথে সাথে ব্যাপক হচ্ছে ভাঙ্গন। কালের খবর

 

মুরাদনগর থেকে আক্তার হোসেন ভূইয়া, কালের খবর :  ভারতের উজান থেকে আসা গোমতীর পানি কমার সাথে সাথে নদীর তীরবর্তী কুমিল্লা জেলা মুরাদনগর উপজেলা সদরের চৌধুরীকান্দি ও দিলালপুর এলাকায় তীব্র আকারে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ইতি মধ্যে অন্তত ২০টি পরিবারের বসতভিটা নদীতে বিলীন হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে আছে অর্ধশতাধিক পরিবারসহ গোমতী নদীর বেড়িবাঁধ। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি এখনই ভাঙ্গন ঠেকাতে না পারলে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে কয়েকটি গ্রামসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা সদরের চৌধুরীকান্দি ও দিলালপুর এলাকায় নদীর তীরবর্তী ঘরবাড়ি ভেঙে নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এতে ভিটাবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে আনোয়ার হোসেন, রিপন মিয়া, সহিদ মিয়া, হাছান মিয়া, রাজু মিয়া, সাজু মিয়া, আনিছ মিয়া, শরিফ মিয়া, শাহিনুর বেগম, সকিনা বেগম, নুরুল ইসলাম, নয়ন মিয়া, হক মিয়াসহ অন্তত ২০টি পরিবার। এ ছাড়াও নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে কবরস্থান, বৈদ্যুৎতিক খুঁটি, হাঁস-মুরগির খামার ও মাছের পুকুরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। বর্তমানে নদীর তীরবর্তী আরো বেশ কয়েকটি পরিবার নদী ভাঙ্গনের আতঙ্কে খোলা আকাশের নিচে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছে। অনেকেই বসতভিটা বেচে থাকার একমাত্র আশ্রয়স্থলটুকু ভেঙ্গে নিয়ে গেছে অন্যত্র। সর্বক্ষণ ভাঙ্গন আতঙ্কে, অনিদ্রা, অনাহারে প্রহর গুনছেন সহায়সম্বলহীন এই মানুষগুলো।


আনোয়ার হোসেন বলেন, গত ১০ বছরে আমাদের বসত বাড়িসহ আশেপাশের প্রায় দেড় শতাধিক বাড়িঘর গোমতী নদীর ভাঙ্গনের ফলে বিলীন হয়েছে। বাপ-দাদার ভিটেমাটির কোনো চিহ্নই এখন নেই। বর্তমানে যেখানে আছি সেটিও বিলীন হওয়ার পথে। পরিবার পরিজন নিয়ে খুব আতঙ্কে রয়েছি। সব সরকারের আমলেই আমরা এ বিষয়টি জানিয়েছি। জনপ্রতিনিধিরা এসে দেখে নদী ভাঙ্গন রোধের আশ্বাসও দিয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।


চার ছেলের চার ঘরসহ নিজের ঘর হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাওয়া সিএনজি চালক রিপন মিয়া কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, “আমার সব শেষ হইয়া গেছে। আমি বাচ্চা-কাচ্চা নিয়া এখন কই থাকমু। আমার থাকনের কোন যায়গা নাই। সরকার যদি আমাগোরে থাকনের ব্যবস্থা করে না দেয় তাহলে মরন ছাড়া উপায় নাই।
এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ সিফাত উদ্দিন বলেন, ইতি মধ্যে নদীর পাড়ের অধিক ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা গুলো চিহ্নিত করে কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের কাছে একটি তালিকা প্রেরণ করা হয়েছে। তাদের সহযোগিতা পেলে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে নদী ভাঙ্গন রোধ করা সম্ভব হবে।
কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান বলেন, গোমতীর পানি কমার সাথে সাথে যে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে ইতিমধ্যেই আমরা সেগুলোর একটা তালিকা করে তা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিকট পাঠিয়েছি। নদী ভাঙ্গন রোদে আমাদের কোন নিজস্ব বাজেট নেই, তাই আমরা নিজে থেকে কিছু করতে পারছি না।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com